আজ, শুক্রবার ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ধানের অবৈধ মজুত ঠেকানোর নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর

টুডে সংবাদ ডেস্ক :: লাইসেন্স ছাড়া ধানের ব্যবসা ও অবৈধ মজুতদারি ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

 

তিনি বলেন, মজুতের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেউ যাতে অবৈধ মজুত না করে। যাদের ফুড গ্রেইন লাইসেন্স নেই তারা যাতে ধান কিনতে না পারে।

 

রোববার (৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৩ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে সারাদেশে সব খাদ্য গুদামে ধান ও চাল কেনা শুরু হবে। ক্রয় কমিটির উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানাতে হবে আমরা ধান-চাল কেনা শুরু করলাম, যাতে তাদের নজরদারিটা ঠিক থাকে।

 

তিনি বলেন, আমরা ধান সংগ্রহ করি শুধুমাত্র কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার জন্য। কারণ সরকার যদি ধান না কেনে, কেনার জন্য মাঠে না থাকে, তাহলে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কৃষকদের পর্যুদস্ত করে এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি। আমরা ধান কেনার টার্গেটে পৌঁছাতে পারি আর না পারি, আমরা কেনার মধ্যে থাকলে তারা আর কৃষকদের ঠকাতে পারবে না।

 

মন্ত্রী বলেন, আমরা চার লাখ টন বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। তারপরও আমরা বলেছি, বাজারে যদি সেই রকম অবস্থা থাকে, কৃষক যদি ন্যায্যমূল্য না পায় আমরা আরও বেশি কিনব। কৃষক যাতে কষ্ট না পায় আমরা অবশ্যই তা নিশ্চিত করবো। প্রয়োজনে আমরা ছয় থেকে আট লাখ টন ধান কিনব।

 

তিনি বলেন, মজুতের বিষয়ে আমরা এবার শক্ত অবস্থানে আছি। আমরা নতুন আইন করছি। এটি আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে। মজুত, পরিবহন, চালের বস্তায় ধানের দাম লেখা- নানাবিধ বিষয়ের খুঁটিনাটি দেওয়া আছে। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এটি মোবাইল কোর্টে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ আইনটি হলে যারা চাল প্যাকেটজাত করে সেই গ্রুপগুলোও ঠান্ডা হয়ে যাবে।

 

তিনি আরও বলেন, প্যাকেটজাত করে চাল বিক্রি করা দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে আমি নিজে মামলা করেছি। অনেকেই বলেছেন আপনি মামলা করেছেন, চেয়ার গেল কী গেল। আমি বলেছি আমি রিজাইন দেওয়ার জন্য রেডি আছি। কিছুই তো হয়নি। এটা নিয়ে ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে, আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে।

 

গত ১৩ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার।

 

এর মধ্যে চার লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা। গমের সংগ্রহ মূল্য ৩৫ টাকা। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ টন। ধান, চাল ও গম সংগ্রহ চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

 

টুডে সংবাদ ডটকম/এ/০৯

সর্বশেষ