আজ, বুধবার ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

‘শুধু চিন্তা করেছি, হয় আমি মারব, না হয় আমি শেষ’

স্বভাবে স্বল্পভাষী। কিন্তু তাওহিদ হৃদয়ের হয়ে কথা বলে তাঁর ব্যাট। এ বছরের বিপিএল থেকে সেটিই হয়ে আসছে। ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ ইনিংসে ১৪০ স্ট্রাইক রেটে তাওহিদ রান করেছেন ৪০৩। শুধু রানের জন্য নয়, বিপিএলে খেলার ধরনই জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয় হৃদয়ের সামনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও শুরুটা হয়েছে বলার মতো। মাত্র ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারেই আছে অনেক উত্থান–পতনের গল্প—

ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট…সবখানে রান করছেন। সময়টা নিশ্চয়ই উপভোগ করছেন?

তাওহিদ হৃদয়: যেভাবে যাচ্ছে, ভালোই যাচ্ছে। আশা করি, সামনেও ভালো হবে।

এক বছর আগেও তো পরিস্থিতিটা এমন ছিল না…

হৃদয়: এখন ক্রিকেট অনেক বদলে গেছে। প্রতিনিয়ত যদি নিজেকে না বদলাই, তাহলে তো টিকে থাকা খুবই কঠিন। একটা জায়গায় আটকে গেলে দেখবেন যে আর কিছুই হবে না। উন্নতিটা ধরে রাখা তাই খুবই জরুরি। সেটা যদি ক্যারিয়ারের শুরু থেকে হয়, তাহলে আরও ভালো।

গত বছর বিপিএল-ব্যর্থতার পরই তো আপনার চিন্তাভাবনায় বড় পরিবর্তন এসেছে বলে জানি…

হৃদয়: হ্যাঁ, এই ভাবনা আসে গত বছর বিপিএলে খারাপ খেলার পর। নিজেকে পরিবর্তন করতেই হতো, এমন একটা পরিস্থিতি চলে এসেছিল।

বারবার মানসিকতার ব্যাপারটা সামনে আসছে…

হৃদয়: সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে নিজের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন। সাহসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া ছোট ছোট টেকনিক্যাল জিনিস তো ছিলই, সেগুলো নিয়ে সোহেল স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি। আর সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ) আমাকে ছোট থেকেই দেখেছেন, আমার ওপর তাঁর সব সময় আত্মবিশ্বাস ছিল। বিপিএলের পর প্রিমিয়ার লিগেও খুব একটা ভালো করিনি। আবাহনীতে খেলেছি। কিন্তু ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক নাড়াচাড়া হয়েছে। তারপরও এখন মনে হয় কী, ওই সময়টা হয়তো একদিক থেকে ভালোই ছিল। আমি সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। আল্লাহ যা করে, আসলে ভালোর জন্যই করে। ওই রকম কিছু না হলে হয়তো এখন যা হয়েছে, সেটাও হতো না।

সর্বশেষ