নিজস্ব প্রতিবেদক :: দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবার ফলাফলের অপেক্ষা।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। তবে বিকাল ৪টার পরও যেসব কেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ভোটার ছিল, তাদের ভোটগ্রহণ শেষ করেই কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিলেট সিটিতেই ভোটার উপস্থিতি তেমন বেশি ছিল না। সিলেটে পাঁচ ঘণ্টা পর ২০ শতাংশ ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিলেট সিটিতেই ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমে। কিছু কিছু কেন্দ্রে ছিল যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে ভোট দিতে। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। আর বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন- গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীর ভোট শেষ করল।
টুডেসংবাদডটকম/ডেস্ক/এ/