আজ, শনিবার ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

‘মোখা’র তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনের ভবনগুলো কাঁপছে

টুডে সংবাদ ডেস্ক :: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডবে এখনো কাঁপছে সেন্টমার্টিনের ভবনগুলো। আশপাশের ভবনের টিনের চাল উড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্বল রিসোর্ট ভেঙে পড়ছে। সেখানে ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।

 

রোববার (১৪ মে) বিকেল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ওপর ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব বেশি পড়েছে। সেন্টমার্টিনে এখনো তাণ্ডব চলছে। টেকনাফে বেলা সাড়ে ১১টায় ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে গেছে। এখনো তাণ্ডব বলবৎ রয়েছে। সেন্টমার্টিনে দুপুর ১টায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে, ২টায় ১২১ কিলোমিটার, ২টা ২০ মিনিটে ১১৫ কিলোমিটার, আড়াইটায় ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

 

তিনি জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

আসাদুর রহমান আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির বড় অংশ মিয়ানমারের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। সেন্টমার্টিনে আমাদের দুটি ভবন আছে। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে কেউ যেতে পারছে না। অনেক দুর্যোগময় পরিস্থিতি। ভবনগুলো কাঁপাকাপি করছে।

 

এ আবহাওয়াবিদ বলেছেন, সেন্টমার্টিনে আমাদের কর্মকর্তারা দেখছেন, আশাপাশের ভবনের টিনের চাল উড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্বল রিসোর্ট ভেঙে পড়ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিত আরও পরে জানতে পারবো। ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেখানে বহু দুর্বল স্থাপনা আছে, যেগুলো টিকে থাকার মত না।

 

তিনি জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে দুর্বল হলেও ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে প্রচণ্ড গতিবেগে বাতাস বইছে।

 

গত সোমবার (৮ মে) সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ওইদিন মধ্যরাতে এটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যার পর সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপ এবং গতকাল বুধবার (১০ মে) সকালে তা গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে সেটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নেয়।

 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় জেলা-উপজেলাগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

টুডে সংবাদ ডটকম/ডেস্ক/এ/

সর্বশেষ