আজ, বুধবার ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপির কর্মসূচি সফলে দায়িত্ব পেলেন যেসব জ্যেষ্ঠ নেতা

টুডে সংবাদ ডেস্ক :: আজ শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশ করছে বিএনপি। ২০, ২৬, ২৭ মে এই তিন দিনও একদফা কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কর্মসূচি সফল করতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কে কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন তা দলটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

 

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে এ জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

 

পনেরো দিন বিরতি দিয়ে গত শনিবার চার পর্বে ৮২ সাংগঠনিক জেলায় জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। যা শেষ হবে ২৬ মে। কর্মসূচি সফল করতে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিবদের মাঝে ইতোমধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। জনসমাবেশ সফল করার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেবেন।

 

জানা গেছে, একক কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

 

১৯ মে কর্মসূচিতে যারা দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলার দায়িত্বে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফেনী জেলার দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, রাঙামাটি জেলার দায়িত্বে রয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

নারায়নগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দায়িত্বে থাকবেন।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, নওগাঁ জেলার দায়িত্ব আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা ও মহানগরে থাকবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রংপুর বিভাগের রংপুর জেলা ও মহানগরের দায়িত্ব আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

খুলনা বিভাগের খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেহেরপুর জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মাগুরার জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিতি থাকবেন।

ফরিদপুর বিভাগের ফরিদপুর জেলা ও মহানগর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ফারুক। কুমিল্লা বিভাগের কুমিল্লা জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার থাকবেন।

২০ মে কর্মসূচিতে যারা দায়িত্বে রয়েছেন

ঢাকা বিভাগের মহানগর দক্ষিণের দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাস, মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।

রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নীলফামারী জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দিনাজপুর জেলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল দায়িত্বে রয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, পাবনা জেলায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দায়িত্বে থাকবেন।

খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও ঝিনাইদহ জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার থাকবেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

ফরিদপুর বিভাগের রাজবাড়ী জেলায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, কুমিল্লা বিভাগের চাঁদপুর জেলায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী থাকবেন।

ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামালপুর জেলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দায়িত্বে রয়েছেন।

বরিশাল বিভাগ পটুয়াখালী জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরিশাল উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।

২৬ মে কর্মসূচিতে যারা দায়িত্বে রয়েছেন

রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সৈয়দপুর জেলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল দায়িত্বে রয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন ও সিরাজগঞ্জ জেলায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দায়িত্বে থাকবেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বান্দরবান জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান দায়িত্বে রয়েছেন।

ঢাকা বিভাগের মহানগর দক্ষিণে (২) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মানিকগঞ্জ জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ঢাকা জেলায় বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দায়িত্বে রয়েছেন।

খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও সাতক্ষীরা জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু দায়িত্বে থাকবেন।

ফরিদপুর বিভাগের মাদারীপুর জেলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন , বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং পিরোজপুর জেলার বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার দায়িত্বে থাকবেন।

২৭ মে কর্মসূচিতে যারা দায়িত্বে রয়েছেন

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও গাইবান্ধা জেলার বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল দায়িত্বে রয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, নাটোর জেলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু থাকবেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান দায়িত্বে রয়েছেন।

ঢাকা বিভাগের মহানগর দক্ষিণ (২) বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন ও গাজীপুর জেলা ও মহানগরে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় থাকবেন।

খুলনা বিভাগের নড়াইলে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যশোর জেলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাগেরহাট এ বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু দায়িত্বে রয়েছেন।

ফরিদপুর বিভাগের শরীয়তপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, কুমিল্লা বিভাগের ব্রাহ্মনবাড়িয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ময়মনসিংহ বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠিতে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন দায়িত্বে রয়েছেন।

জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, সাবেক সংসদ সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজ জেলার কর্মসূচীতে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেবেন। উপরোক্ত কর্মসূচিসমূহ বিভাগীয় সমন্বয়কারী সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহযোগী সমন্বয়কারী সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ ও পূর্বঘোষিত ১০ দফার পক্ষে সমর্থন জানাতে দেশের মানুষ চলমান কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে।’

দলটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দেখুন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন এ সরকারের দুঃশাসনে চরম ক্ষুব্ধ। ভোটের অধিকার হারানো ছাড়াও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় নামতে চায়। ফলে বিএনপির এবারের কর্মসূচি গণবিক্ষোভ থেকে গণঅভ্যুত্থানের পথে যাত্রা করবে।’ তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার ও মামলা-হামলায় আমরাই বেশি ভুক্তভোগী। তাই দলের পক্ষ থেকে এককভাবে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

টুডেসংবাদডটকম/ডেস্ক/এ/

সর্বশেষ