ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না…
দুই–তিন দিন অসুস্থ ছিলাম। সিজনাল সমস্যা। জ্বর, ঠান্ডা। এর মধ্যে অসুস্থ শরীর নিয়েই শুটিং করতে হচ্ছে। একটি নাটকের শুটিং স্থগিত করতে হয়েছে। ঈদের কাজ, সব তো আর বাতিল করা সম্ভব নয়। প্রতিটি কাজের সঙ্গে অনেকে জড়িত। আজ থেকে (বৃহস্পতিবার) আবার শুটিং শুরু করেছি।
ঈদের কাজ নিয়ে তাহলে ভালোই ব্যস্ত?
এবার ঈদের জন্য কম কাজ করেছি। তা ছাড়া এবার ভালোবাসা দিবসের পরে ঈদের কাজের জন্য সময় একদম কম পেয়েছি। ১০ থেকে ১২টির মতো নাটক ঈদে প্রচারিত হবে। ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি, যেন দর্শক মনে রাখে।
আগে তো কাজের সংখ্যা দ্বিগুণ থাকত…
কখনো মনে করিনি, বেশি কাজ করে লাইমলাইটে আসব। দর্শক আমাকে চিনবে না কেন, কেন আমার একটা জায়গা তৈরি হচ্ছে না—এসব নিয়ে কখনোই মাথাব্যথা ছিল না। আগে বেশি কাজ করেছি। এখন কাজের সংখ্যা বাড়াতে চাই না। শুরু থেকেই কোয়ালিটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চেয়েছি।
তার মানে আপনি কখনো চাননি লাইমলাইটে আসতে হবে?
শুরু থেকেই আমি লাইমলাইটে আসতে চাইনি। কারণ, শখ করে অভিনয়ে আসা। মিডিয়াতে দুই–তিনটা কাজ করব, এমন ইচ্ছা ছিল; নায়িকা হব কখনো ভাবিনি। এখন দর্শক আমাকে চিনতে শুরু করেছে, প্রশংসা করে—দিন শেষে এটাই শখের কাজের আনন্দ। এখান থেকেই ভালো কাজের প্রেরণা পাই। তখন মনে হয়, আর শখ নয়, এখন দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করা উচিত। শুধু তা–ই নয়, আমি যেমন মানুষের কাছ থেকে শিখি, তেমন চাই, তারাও যেন আমার কাছ থেকে কিছু না কিছু শেখে। যে কারণে এখন ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস।